Barak UpdatesBreaking News
প্রথমবারের মতো শিলচরে রাধারমণ দত্তের গানের কর্মশালা করছে বরাককণ্ঠ
৫ মার্চ : বরাককণ্ঠের উদ্যোগে আগামী ১৩ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত শিলচরের ইলোরা হেরিটেজ হলে রাধারমণ দত্তের গানের কর্মশালা আয়োজন করছে সাপ্তাহিক পত্রিকা বরাককণ্ঠের সাংস্কৃতিক বিভাগ। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন বাংলাদেশ ঢাকার খ্যাতনামা শিল্পী বিশ্বজিৎ রায়। এই কর্মশালায় বরাকের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করতে পারবে। রাধারমণের গান প্রচার ও প্রচারের জন্য বরাকে প্রথম বারের মতো এই বরেণ্য শিল্পীর গান নিয়ে কর্মশালা হবে বলে জানিয়েছেন বরাককণ্ঠের সম্পাদক সন্তোষ চন্দ এবং সভানেত্রী স্বর্ণালী চৌধুরী। কর্মশালার সহযোগিতায় রয়েছে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি।
তাঁরা জানান, এই কর্মশালায় যিনি প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন সেই প্রশিক্ষক ও শিল্পী বিশ্বজিৎ রায় রাধারমণ দত্তের গানের তাত্ত্বিক ও গায়নশৈলী নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে সমান জনপ্রিয়। কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি আসাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাধারমণের গান ও কাব্যমূল্য বিষয়ে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। বাংলাদেশে রাধারমণের গানকে জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে ড. রায়ের অবদান অনস্বীকার্য। এ বিষয়ে তাঁর সংগ্রহে এখন প্রায় ১৫০০টি গান রয়েছে। প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী ঢাকার বুকে উন্মুক্ত মঞ্চে রাধারমণ সঙ্গীত উৎসবের আয়োজন তাঁর একক প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হচ্ছে। তিনি এককভাবে দেশে বিদেশে প্রায় একশ-র বেশি অনুষ্ঠানে রাধারমণের গান পরিবেশন করে সুনাম অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পেশায় যুক্ত।
প্রসঙ্গত, ধামাইল গানের জনক বাংলা লোকসংগীতের পুরোধা লোক কবি রাধারমণ দত্ত। তাঁর রচিত ধামাইল গান সিলেট ও এখানকার বাঙালিদের কাছে পরম আদরের। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার লোক সংস্কৃতিকে পরিপূর্ণ করে গড়ে তুলেছেন। সাধকরা তাদের নিজ নিজ ধারায় মরমী সংগীতের যে অমৃত রসের ধারা বইয়ে দিয়েছিলেন তা আজ ও মানুষের মনের মণিকোঠায় সুর ঝংকারের সৃষ্টি করে । লোকসঙ্গীতের পুরোধা লোককবি রাধারমণ দত্ত জন্মগ্রহণ করেন ১৮৩৩ সালে আতুয়াজান জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জে। ১৯১৫ সালে তিনি প্রয়াত হন।
আয়োজকের পক্ষ থেকে সন্তোষ চন্দ জানান, শিল্পী বিশ্বজিত রায়ের সান্নিধ্যে এসে বরাকের শিল্পীরা যদি রাধারমণের গানের তালিম নেন, তবে তারা উপকৃত হবেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণ করতে সন্তোষ চন্দ এবং স্বর্ণালী চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।