Barak UpdatesBreaking News

প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েও ১০ লক্ষ টাকা ফিরে পেলেন অধ্যাপক

৭ সেপ্টেম্বরঃ প্রতারকের খপ্পড়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক খুইয়ে ফেলেছিলেন ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা। পরে দ্রুত ব্যাঙ্ক-কে জানানোর দরুন পুরো টাকা ফিরে পেয়েছেন তিনি। দরগাকোণা শাখা থেকে মুম্বই পর্যন্ত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।

ঘটনা ২৭ আগস্ট তারিখে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নগেন্দ্র পান্ডের মোবাইলে একটি ফোন আসে। নিজেকে স্টেট ব্যাঙ্কের জনসংযোগ অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর নেটব্যাঙ্কিংয়ের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড জানতে চায়। নগেন্দ্রবাবু বলে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার একই গলায় ফোন। ততক্ষণে তাঁর মোবাইলে একটি ওটিপি আসে। লোকটি ওই ওটিপি-টি জানতে চায়। সরল বিশ্বাসে অধ্যাপক মহাশয় তাও তাকে জানিয়ে দেন। মুহূর্তে ম্যাসেজ ভেসে ওঠে তাঁর মোবাইলের স্ক্রিনে। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হল।

এ বার সম্বিত ফেরে অধ্যাপক পান্ডের। বুঝে যান প্রতারকের খপ্পড়ে পড়েছেন। দ্রুত ছোটেন স্টেট ব্যাঙ্কের দরগাকোণা শাখায়। ম্যানেজার রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে সব কথা জানান। রাজর্ষিবাবু বিষয়টি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে নেন। স্টেট ব্যাঙ্কের শিলচর মডিউলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিতেন্দ্রকান্ত ঠাকুর এক মুহূর্ত  সময় নষ্ট না করে কথা বলেন মুম্বাইয়ে। করপোরেট সেন্টারের আইটি শাখাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

পুরো করপোরেট টিম তখন প্রতারকের হাত থেকে গ্রাহকের টাকা ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমে পড়ে। সঙ্গে আসাম পুলিশের সাইবার ক্রাইম দমন শাখা। দেখা যায়, প্রতারক মুম্বইর আঁধেরিতে দীপ এন্টারপ্রাইজ নামে এক শপিংস্টোরে ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার বিভিন্ন সামগ্রীর অর্ডার দিয়েছে। মুম্বই পুলিশের সহায়তায় ব্যাঙ্ক-এর কর্তারা দীপ এন্টারপ্রাইজে ছুটে যান। সব জানিয়ে ওই অর্ডার বাতিল করান। তাতে অধ্যাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পুরো টাকাই ফিরে আসে।

মাত্র ১০ দিনে পুরো টাকা ফেরাতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, এটা সম্ভব হয়েছে অধ্যাপক পান্ডে দ্রুত ব্যাঙ্কে ছুটে গিয়েছিলেন বলে। তিনি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রাজর্ষি ভট্টাচার্যেরও প্রশংসা করেন। রাজর্ষিবাবু বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়েছিলেন। জিতেন্দ্র সকল গ্রাহকদের সতর্ক করে দেন, কোনওমতেই কেউ যেন কোনও অ্যাকাউন্ট বা কোনও কার্ডের পিন নম্বর, পাসওয়ার্ড, ওটিপি ইত্যাদি কাউকে না বলেন। এর পরও কোনওভাবে প্রতারকের জালে পড়ে গেলে বিষয়টি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাঙ্ক-কে জানাতে পরামর্শ দেন তিনি।

একই আবেদন জানান অধ্যাপক নগেন্দ্র পান্ডেও। তিনি বলেন, আমার হয়রানি থেকে সকলে যেন শিক্ষাগ্রহণ করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker