Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি পর্যালোচনায় কাছাড়-হাইলাকান্দি পরিদর্শনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অলোক কুমার
ওয়ে টু বরাক, ২২ ডিসেম্বর : রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অলোক কুমার কাছাড় ও হাইলাকান্দি জেলার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা সভার আয়োজন করেন। শিলচরের কাছাড় জেলা আয়ুক্তের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব গীতার্থ বরুয়া এবং একাধিক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক।
সভায় কাছাড়ের জেলা আয়ুক্ত মৃদুল যাদব, হাইলাকান্দির জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে, কাছাড়ের পুলিশ সুপার নোমাল মাহাত্তা, হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনিক ও পুলিশ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে দুই জেলার প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় তথ্য তুলে ধরা হয়।
নির্বাচন কমিশনার অলোক কুমার সভায় গণতন্ত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অপরিহার্যতার ওপর জোর দেন। তিনি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাকে মূলভিত্তি হিসেবে তুলে ধরে সকল স্তরের ভোটারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতাই গণতন্ত্রের প্রাণ। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই নির্বাচনে সকল ভোটারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সকলকে তাদের দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।”
কমিশনার অলোক কুমার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন। এর মধ্যে রয়েছে স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন, ভোটকর্মীদের জন্য বিস্তৃত প্রশিক্ষণ, ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ব্যাপক প্রচার এবং নির্বাচন চলাকালীন যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কার্যকর কৌশল। তিনি আশ্বাস দেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন সর্বতোভাবে সহযোগিতা করবে এবং এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের মর্যাদা বৃদ্ধির একটি মাইলফলক হিসেবে পরিণত করবে।
কাছাড় ও হাইলাকান্দি জেলার জেলা আয়ুক্ত তাদের প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাঁদের দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈঠকের শেষে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য একমত হন সবাই। এই উদ্যোগ তৃণমূল স্তরের শাসন ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করতে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।