NE UpdatesHappeningsBreaking News
নতুন বছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পুলিশে ৪৬ হাজার নিযুক্তি, ঘোষণা হিমন্তের
ওয়েটুবরাক, ৪ জানুয়ারি : নতুন বছরে আসামে শুধু শিক্ষা-স্বাস্থ্য-পুলিশ বিভাগে ৪৬ হাজার চাকরি হবে৷ দুলিয়াজানে আয়োজিত পুলিশ সুপারদের সম্মেলনে মঙ্গলবার এ কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷
পুলিশের সংখ্যা আর একটু বাড়লে যে কাজের সুবিধা হয়, পুলিশ সুপারদের আলোচনায় সে কথা উঠে আসছিল বারবার। পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, শুধু পুলিশে নয়, তাঁর সরকার এই বছর শিক্ষা বিভাগে ২৫ হাজার, স্বাস্থ্য বিভাগে ৫ হাজার নিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। একই সঙ্গে নেওয়া হবে ১৬ হাজার পুলিশও। পাঁচটি কমান্ডো ব্যাটেলিয়ন তৈরি করা হচ্ছে৷ সেখানে নিয়োগ হবে পাঁচ হাজার যুবক-যুবতী। এ ছাড়াও এই বিভাগে চাকরি হবে আরও এগারো হাজার জনের।
In last 8 months, Assam Police performed commendably. For the 1st time, no. of disposed cases is more than those registered. Last year, 1,32,000 cases were registered & 1,34,000 cases were disposed.
We will equip PS with modern facilities & spend ₹2,500 cr on police infra.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) January 4, 2022
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান। জনবলের ঘাটতি ছাড়াও কেউ জানান, তাঁর জেলায় সব থানায় গাড়ি নেই। কেউ বললেন, পুলিশ আবাসনে দরজা-জানালা ভেঙে পড়ছে। অনেকে পুলিশ ফাঁড়িগুলির দুরবস্থার কথা তুলে ধরেন। সব অভাব-অভিযোগ শুনে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করেন, পুলিশ বিভাগের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে আগামী বাজেটে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ওই অর্থে রাজ্যের সমস্ত থানা, ১০০টি ফাঁড়ি এবং ২০টি রিজার্ভের পরিকাঠামোগত সমস্যা মেটানো হবে। গুরুত্ব দেওয়া হবে পুলিশের আবাসন সংস্কারেও।
দুলিয়াজানে আয়োজিত দুদিনের পুলিশ সম্মেলনের আজ ছিল শেষদিন। সোমবার প্রথমদিনে টানা আঠারো ঘণ্টা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কাটান মুখ্যমন্ত্রী। সকাল দশটায় উদ্বোধন করে সেই যে সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করেন, বের হন ভোর চারটায়। দু-বারের খাওয়ার সময় বাদ দিলে ঠায় বসেছিলেন নিজের চেয়ারে। পুলিশ সুপারদের কাছ থেকে জেলাগুলির রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। তখন সবাইকে শুনিয়ে দেন, পুলিশকে ‘সিটিজেন সার্ভিস’-এ গুরুত্ব দিতে হবে। পুলিশ ভেরিফিকেশন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে একমাসের বেশি সময় নেওয়া চলবে না। দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রিপোর্টের জন্য যেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পরিবারের সদস্যদের থানায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে না হয়। ওই রিপোর্ট পুলিশকেই তাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।