Barak UpdatesBreaking News
ধর্মীয় আচার ও উৎসাহে ছটপূজা শিলচরে
১৩ নভেম্বর : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সূর্যদেবকে অর্ঘ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ছট পূজা। এ দিন বিভিন্ন জলাশয় ও নদীর ঘাটে হিন্দিভাষী মানুষ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উৎসব পালনে শরিক হন। সারা দেশের সঙ্গে বরাক উপত্যকায়ও দিনটি পালনে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।
কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর বিকেলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়ির কর্তা-গিন্নিরা কোমর জলে দাঁড়িয়ে সূর্যদেব ও তার পত্নী ঊষা অর্থাৎ ছট মাইকে অর্ঘ্য দেন। শিলচর শহরে বরাক নদীর তীরে অন্নপূর্ণা ঘাট, ইটখলা ঘাট, মধুরা ঘাট, সদরঘাট সবখানেই ভক্তদের ঢল নামে। বাজি পটকা ফাটিয়ে বিপুল উৎসাহে সাধারণ মানুষকে উৎসব উদযাপনে দেখা যায়।
ছট পুজোয় অংশগ্রহণকারী জনৈক ভক্ত জানান, তিন দিনের এই উৎসব শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এ দিন ব্রতীরা সারাদিন উপবাস থেকে সন্ধ্যেয় ক্ষীর ভক্ষণ করেন। এই পর্বটি হিন্দিভাষীদের মধ্যে ‘খরনা’ হিসেবে পরিচিত। তারপর থেকেই শুরু হয় টানা উপবাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুনরায় নদীর ঘাটে গিয়ে অঞ্জলি প্রদান করা হয়। বুধবার সকালেও ঠিক একইভাবে অর্ঘ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে ছট পূজার সমাপ্তি হবে।
ছট পূজাকে কেন্দ্র করে নদীর ঘাটগুলো সাজিয়ে তোলা হয়। রং-বেরঙের পতাকার সমাহার ও মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এক নান্দনিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ছট পূজার ব্রতীরা এর আগে নিজেদের ঘরেও একটি স্থান ঠিক করে পুজোর আয়োজন করেন। এই পুজোর জায়গাটিও সাজিয়ে তোলা হয়। ঘরে এ দিন ‘ঠেকুয়া’ তৈরির রেওয়াজও রয়েছে। এই ঠেকুয়া প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন সবাই। রাজ্য সরকার মঙ্গলবার ছট পূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে।
অখিল আসাম ভোজপুরি পরিষদের কাছাড় জেলা কমিটি মঙ্গলবার ছট পূজা উপলক্ষে ৫০টি পরিবারকে পূজা সামগ্রী বিতরণ করে। ছট পুজোর ভক্তদের মধ্যে এ দিন পরিষদের পক্ষ থেকে নারকেল, চিনি, ময়দা, ধূপকাঠি, মোম ইত্যাদি বিতরণ করা হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে প্রথমবার এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী বছরও ছট পূজার দিনে তারা এই প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবেন। এই সামগ্রী বিতরণের সময় পরিষদের পক্ষ থেকে ছিলেন রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জীব রায়, জেলা সভাপতি ড. রঞ্জন সিং, কাশি সিং, কুনাল দুবে, নন্দ রায়, কমলেশ্বর গজলু, বন্দিতা ত্রিবেদী প্রমুখ।