Barak Updates
ড্রপ আউট স্টুডেন্ট সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুপারা মহেন্দ্রভাই
ওয়েটুবরাক, ২২ মে : কেন্দ্রীয় মহিলা, শিশু উন্নয়ন ও আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুপারা মহেন্দ্রভাই ড্রপ আউট ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝপথে পড়া বন্ধের কারণ অনুসন্ধান করতে শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সোমবার হাইলাকান্দিতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্পর্কে এক রিভিউ মিটিংয়ে অংশ নেন। সেখানে শিক্ষা বিভাগের কর্তারা জানান, হাইলাকান্দি জেলার ১৩০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৩৭ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে। জেলায় ১২৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পোষন কর্মসূচি চলছে। বিদ্যাঞ্জলি নামক প্রকল্পে জেলায় ১১৮২টি সিলিং ফ্যান স্কুলের প্রাক্তনীরা তাদের নিজস্ব বিদ্যালয়ে দান করেছেন এবং আরোহন নামক প্রকল্পের ৫৬ জন মেধাবী পড়ুয়াকে জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা স্পন্সর করছেন। স্কিল ডেভেলপমেন্টের ট্রেনিংপ্রাপ্ত ২৬৪ জনের মধ্যে ২২ শতাংশের নিযুক্তি হয়নি। এই তথ্য জেনে এর কারণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানতে চান। জীবিকা মিশন থেকে জানানো হয়, উপত্যকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই এবং ট্রেনিংপ্রাপ্তরা অন্য রাজ্যে যেতে চান না। তবে জীবিকা মিশনের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি প্রকল্পে জেলার ১১৯৮ জনকে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছিল। এর বিপরীতে ১৪০ শতাংশ সফলতা মিলেছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জেলার জীবিকা মিশন শাখার তরফ থেকে অবগত করানো হয়।
জেলা পরিষদ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর অভিবাসী প্রকল্প অমৃত সরোবরের ৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে জেলায় ৪৬টি সম্পূর্ণ এবং ২১টির কাজ আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে শেষ হবে। জেলার চা বাগান গুলিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ লক্ষ ৮ হাজার ৬৫০ কর্ম দিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে জেলায় ১ লক্ষ ৩১৯৯টি শৌচালয় নির্মাণ করে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগে আয়ুষ্মান কার্ডের ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫৯-এর ইকেওয়াইসি করা সম্ভব হয়েছে। মোট ৪ লক্ষ ৮০ হাজার একটি রেশন কার্ডের মধ্যে। পি এইচ ই বিভাগের জল জীবন মিশনের ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৫৪ টি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিয়ে ৬১ শতাংশ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়। ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে জেলায় এক লক্ষ ৬৯ হাজার ১৯৬টি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিয়ে ১০০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে বলে সভায় জানানো হয়। জেলার সব শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সভায় জেলাশাসক নিসর্গ হিভারে গৌতম বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।