CultureBreaking News
জন্মদিনে নাচে-গানে শ্রদ্ধা কালিকাপ্রসাদকে
১৬ সেপ্টেম্বর: নাচে-গানে-কথায় কালিকা প্রসাদের জন্মদিন পালন করল শিলচর। ১১ সেপ্টেম্বর লোকসংহতি দিবস হিসেবেই উদযাপিত হয় দিনটি। শিলচরের ডান্সার সার্কল উদ্যোগ নেয়। পাশে দাঁড়য় বাংলাদেশ হাই কমিশনের গুয়াহাটি কার্যালয় ও অসম সরকারের সংস্কৃতি দফতর। ঢাকার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গানের দল নিয়ে আসে। আসেন জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসও।
প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন গোলাম কুদ্দুস, সংস্কৃতি অফিসার নওয়ার আরা হোসেন, বাদল দে, সমরবিজয় চক্রবর্তী ও সৌমিত্রশঙ্কর চৌধুরী। উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন অসমের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য এবং শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পালও। মন্ত্রী শুক্লবৈদ্য বলেন, কালিকাপ্রসাদ লোকসংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেওয়ার যে কাজ করে গিয়েছেন, একে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দিলীপবাবুও একই সুরে নিজের বক্তব্য পেশ করেন।
কালিকাপ্রসাদ লোকসংস্কৃতি চর্চাতেই আজীবন কাজ করে গিয়েছেন। তার জন্মদিন উদযাপনে তাই পরম্পরাগত সংগীত, নৃত্যেই জোর দেন আয়োজকরা। বাংলার সঙ্গে মণিপুরি এবং ডিমাসা নৃত্যও পরিবেশিত হয়।
ত্রিপুরার জাতি-জনজাতিদের নৃত্যের একটি কোলাজ তুলে ধরে ধর্মনগরের কলামন্ডল। গুয়াহাটির দোতারা সাংস্কৃতিক সমাজ গায় কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও ভূপেন হাজরিকার গান। বাংলাদেশের বহ্নিশিখা শিল্পীদরও প্রথমে কালিকাপ্রসাদের গান শোনায়। পরে গায় শাহ আব্দুল করিমের গান এবং লালনগীতি। নৃত্য পরিবেশন করে শিলচরের নটরাজ নৃত্যালয়। পরিচালনায় দেবশ্রী দেব। কালিকাপ্রসাদের গানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের শিল্পীরা। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করে লায়ন্স ক্লাব শিলচর লায়নেস। নজর কাড়ে শিলচর সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের অনুষ্ঠান। আয়োজক ড্যান্সার সার্কলও ছয় ঋতুর ওপর দারুন নৃত্যানুষ্ঠান তুলে ধরে।