Barak UpdatesBreaking News

গেটেই ধর্না, প্রথম দিন ফি আদায় হল না কাছাড় কলেজে
Gate closed, protest demonstration at Cachar College, fees of students could not be collected

১০ জুলাই : টানা আন্দোলন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির মাধ্যমে বুধবার ফি আদায় রুখে দিলেন কাছাড় কলেজের ছাত্ররা। বুধবার থেকেই কলেজে স্নাতক স্তরের ফি আদায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসাম সরকারের ফি আদায় সংক্রান্ত সার্কুলার প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় ‘ফি মকুব দাবি ছাত্র সংগ্রাম কমিটি’র সদস্য সহ কলেজের ছাত্রছাত্রীরা মূল গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর ফলে এ দিন ফি গ্রহণ করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।

আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে বিশাল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীর ভর্তির ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হওয়ায় লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কমিটি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা গরিব ছাত্রদের বিনা মাশুলে ভর্তির সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য তাতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে কার্যত তা তুলে দিতে চাইছেন। এর প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিনই প্রতিবাদ হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা মিছিল, মিটিং, ধর্না প্রদর্শন করে চলেছে।

কলেজ গেটে ধর্না চলাকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক স্বপন চৌধুরী, তুতন দাস বলেন, ছাত্রদের সংগঠিত শক্তির যে অসীম ক্ষমতা রয়েছে, তার সঙ্গে সম্ভবত সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য পরিচিত নন। এ অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ছাত্র আন্দোলন ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। অপর দুই আহ্বায়ক বাবলি দাস ও ডোনা বর্মন বলেন, ছাত্রদের দাবির প্রতি কোনও সহানুভূতি দেখাচ্ছে না আসাম সরকার। তারা এও বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও নীরব, নিশ্চুপ। তবে এই আন্দোলন বন্ধ হবে না, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এ দিকে, কাছাড় কলেজের আন্দোলনরত ছাত্রদের চাপে বাধ্য হয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাছাড়ের বিদ্যালয়সমূহের পরিদর্শক কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অপূর্ব চক্রবর্তীকে ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করতে বলেন। অপূর্ব চক্রবর্তী আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন ও বিষয়গুলো ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে তুলে ধরেন। আন্দোলনরত ছাত্রদের মূল দাবি ছিল, ফি না কমানো পর্যন্ত অন্ততপক্ষে ভর্তি ফি সংগ্রহ করা বন্ধ রাখতে হবে।

এই দাবি প্রথমে মানতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, জেলাশাসক বিকেলে জেলার সব অধ্যক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য এক সভার আহ্বান করেন। কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এ কথা শুনে ছাত্ররা তাকে অনুরোধ করেন যে তিনি যাতে ছাত্রদের দাবি সভায় গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন। জেলাশাসকের এই পদক্ষেপ ছাত্রদের দাবি পূরণে সহায়ক হবে বলে সংগ্রাম কমিটি মনে করে। তবে প্রশাসন ছাত্রদের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে বলে জানিয়েছে সংগ্রাম কমিটি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker