Barak UpdatesBreaking News
গণপ্রহারের শিকার ৪ জনকে গ্রেফতার করে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, ওসি আশঙ্কাজনক
১২ অক্টোবরঃ শুক্রবার হাইলাকান্দি জেলার লস্করবাজারে যারা গণপ্রহারের শিকার হয়েছে, সেই চারজনকে গ্রেফতার করে এখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নিজে থেকে মামলা দায়ের করেছে।
হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার পবীন্দ্রকুমার নাথ জানিয়েছেন, চুরি যাওয়া মোষ উদ্ধারের পরিকল্পনা থেকেই এই ঘটনা ঘটে। সোনাইয়ের সফিকউদ্দিন নামে একজনের একটি মোষ কিছুদিন আগে চুরি যায়। তিনি সোনাই থানায় এজাহার দেন। এরই মধ্যে খবর পান, মোষটি লস্করবাজারের এক বাড়িতে রয়েছে। একে উদ্ধার করে চোর ধরে আনার জন্য পরিকল্পনা আঁটে সোনাই থানায় কর্মরত আইআর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জামিল আহমেদ লস্করের সঙ্গে। জামিল আরও দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে লস্করবাজারে যান। সেখানে অভিযুক্তকে গাড়িতে তুলতে গেলে ছেলেধরা বলে হইচই শুরু হয়।
শয়েশয়ে মানুষ বেরিয়ে এসে জামিলকে মারধর শুরু করে। বাকি তিনজন তখন গাড়ি নিয়ে পালানো চেষ্টা করে। কিন্তু সে সুযোগ মেলেনি। রাস্তাতে মানুষ আটকে তাদের বের করে শুরু করে কিল-চড়-লাথি। পুলিশ উদ্ধারে গেলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি বিগড়ে যায়। জনতার ইটবৃষ্টিতে অন্তত ১২জন নিরাপত্তা রক্ষী জখম হন। এর মধ্যে হাইলাকান্দি থানার ওসি হেমন্ত দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মাথায় প্রচণ্ড চোট লেগেছে। তাঁকে শনিবার সকালে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পবীন্দ্রবাবুর কাছে মুখ্য অভিযুক্ত আইআর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান জামিল আহমেদ। কারণ পুলিশ কোনও তদন্তে অন্য থানা এলাকায় গেলে স্থানীয় পুলিশকে জানিয়ে যায়। এখানে তা হয়নি। দ্বিতীয়ত, আইআর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানের তদন্তে যাওয়ার কথাও নয়। এক ওপর সাধারণ পোশাকে ব্যক্তিগত গাড়িতে। সঙ্গে পবীন্দ্রবাবু এও জানান, গণপ্রহার এবং পুলিশের ওপর হামলায় জড়িতদেরও রেহাই মিলবে না। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে।