Barak UpdatesBreaking News
গঙ্গা মানুহার বরাকেও, জল ভরলেন মহিলারা
৬ জানুয়ারিঃ দেশজুড়ে চলা সংস্কার ভারতীর ‘গঙ্গা মানুহার’ কর্মসূচি আয়োজিত হল শহর শিলচরেও। বরাক নদী থেকে জল সংগ্রহ, শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক পর্ব, মহাপ্রসাদ বিতরণ ইত্যাদির মিশেলে বলতে গেলে এক আনন্দমুখর আয়োজন ছিল। রবিবার সকালে মালুগ্রাম পঞ্চানন শিববাড়িতে সদস্য-সদস্যরা জমায়েত হন। লাল পাড়ের শাড়িতে ছিলেন কিশোরী, যুবতী, গৃহবধূরা। পরে শিববাড়ি থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি ও ঢাকের তালে বরাকের মালুগ্রাম মধুরাঘটে পৌঁছান তাঁরা। সেখানে অনুর্ধ্ব ১৪ বছরের কিশোরীরা শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী ঘট, কলসীতে জল ভরেন। হয় পূজার্চনা।
এর আগে এই ঘটগুলোতে রাখা গঙ্গাজল বরাক নদীতে মিশিয়ে দেয় তাঁরা। ঘটভর্তি জল নিয়ে শোভাযাত্রা ফের শিববাড়িতে আসে। সেখানে আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে মহাপ্রসাদ নেন সবাই।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, সংগঠনের পূর্বোত্তর প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী, বরাকের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বতোষ দেব, নিশীথ চক্রবর্তী, সত্যেন্দ্র সিংহ সহ অন্য কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী জানান, প্রয়াগে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কুম্ভমেলা। আর তাতেই পূর্ণতৈ পাবে এই গঙ্গা মানুহার কর্মসূচি। প্রথমবারের মতো সংস্কার ভারতীর উদ্যোগে হচ্ছে এমন আয়োজন। অনুষ্ঠান চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। তাঁর কথায়, ভারতের নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ। এতে গঙ্গা নদীর তরফে দেশের সব নদ-নদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি অঞ্চলের নদ-নদীর সঙ্গে জুড়ে থাকা সংস্কৃতিও সমান মর্যাদা পাবে। ১৮২টি নদীর জল যাবে উত্তর-পূর্ব থেকে। পুরো ৩ একর জমিতে বরাক সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বৈচিত্রময় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এক প্রতীকী গ্রাম তৈরি হচ্ছে প্রয়াগে। সেখানে হস্তশিল্প, চারুকলা, চিত্রকলা থেকে শুরু করে ধামাইল, বিহু, ঝুমুর, ডিমাসা সহ অন্যান্য নাচ, গান, নাটকে এখানকার বহমান ঐতিহ্যের জানান দেওয়া হবে। মূর্তি নির্মাণ করা হবে উল্লাস করদত্ত, শম্ভুধন ফাংলোর মতো সংগ্রামীদের। থাকবে ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে ১৮৫৭ সালের আন্দোলনের বিবরণ। ইতিমধ্যে ৫ জন শিল্পী এই কারুকার্যকে চূড়ান্তরূপ দিতে পৌঁছে গেছেন প্রয়াগে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে উত্তর-পূর্বের ৪৩টি নানা ভাষাগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নাম নথিভুক্ত করেছে বলেও জানান প্রসেনজিৎ।
এর আগে এই ঘটগুলোতে রাখা গঙ্গাজল বরাক নদীতে মিশিয়ে দেয় তাঁরা। ঘটভর্তি জল নিয়ে শোভাযাত্রা ফের শিববাড়িতে আসে। সেখানে আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে মহাপ্রসাদ নেন সবাই।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, সংগঠনের পূর্বোত্তর প্রান্তের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী, বরাকের সাংগঠনিক সম্পাদক বিশ্বতোষ দেব, নিশীথ চক্রবর্তী, সত্যেন্দ্র সিংহ সহ অন্য কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসেনজিৎ রায়চৌধুরী জানান, প্রয়াগে ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কুম্ভমেলা। আর তাতেই পূর্ণতৈ পাবে এই গঙ্গা মানুহার কর্মসূচি। প্রথমবারের মতো সংস্কার ভারতীর উদ্যোগে হচ্ছে এমন আয়োজন। অনুষ্ঠান চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। তাঁর কথায়, ভারতের নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সামনে রেখেই এই উদ্যোগ। এতে গঙ্গা নদীর তরফে দেশের সব নদ-নদীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিটি অঞ্চলের নদ-নদীর সঙ্গে জুড়ে থাকা সংস্কৃতিও সমান মর্যাদা পাবে। ১৮২টি নদীর জল যাবে উত্তর-পূর্ব থেকে। পুরো ৩ একর জমিতে বরাক সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের বৈচিত্রময় সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এক প্রতীকী গ্রাম তৈরি হচ্ছে প্রয়াগে। সেখানে হস্তশিল্প, চারুকলা, চিত্রকলা থেকে শুরু করে ধামাইল, বিহু, ঝুমুর, ডিমাসা সহ অন্যান্য নাচ, গান, নাটকে এখানকার বহমান ঐতিহ্যের জানান দেওয়া হবে। মূর্তি নির্মাণ করা হবে উল্লাস করদত্ত, শম্ভুধন ফাংলোর মতো সংগ্রামীদের। থাকবে ভাস্কর্যের মধ্য দিয়ে ১৮৫৭ সালের আন্দোলনের বিবরণ। ইতিমধ্যে ৫ জন শিল্পী এই কারুকার্যকে চূড়ান্তরূপ দিতে পৌঁছে গেছেন প্রয়াগে। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে উত্তর-পূর্বের ৪৩টি নানা ভাষাগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নাম নথিভুক্ত করেছে বলেও জানান প্রসেনজিৎ।
English text here