Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
কর্পোরেশনের পথেই শিলচর ! জিপি এলাকাও ঢুকবে শহরে
১৭ সেপ্টেম্বর : আজ থেকে ১০ বছর আগে যে শিলচর ছিল, এখন আর তেমন নেই। জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে, নতুন নতুন বসতি এলাকা হয়েছে, রাস্তাঘাট, ব্যবসা বাণিজ্য সবই আগের তুলনায় পরিসর বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু শহরের প্রশাসনিক মর্যাদা সেই একই রয়েছে। এ অবস্থায় শিলচর পুরসভাকে এ বার মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীতকরণের দাবি উত্থাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিলচর জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সভায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ ব্যাপারে সিলমোহর দিয়েছেন।
এ দিনের পর্যালোচনা বৈঠকে সাংসদ রাজদীপ রায়ের পাশাপাশি শিলচর, সোনাই, উধারবন্দের তিন বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন। পর্যালোচনা সভায় সাংসদ রাজদীপ রায় বলেন, শিলচর আসামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। অথচ নানা কারণে বহুদিন ধরে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও শিলচর পুরসভা থেকে পুর নিগমে উন্নীত হয়নি। এখন শহরের পরিসর বৃদ্ধি করে কর্পোরেশনে উন্নীত করলে বরাদ্দও বাড়বে। তিনি শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এলাকা সহ বরাক নদীর আশপাশ অঞ্চলকে শহর এলাকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী জিপি এলাকার বাসিন্দাদের মতামত নেওয়ার ওপর বিশেষ জোর দেন। তিনি বলেন, কর্পোরেশনকে সামনে রেখে একটি নকশা তৈরি করতে হবে।
উধারবন্দের বিধায়ক মিহির কান্তি সোম শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের রংপুর, আঙ্গারজুর এলাকা বর্তমানে উধারবন্দ বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাধীন রয়েছে। এই এলাকার মানুষেরা শহরের সঙ্গে একসূত্রে গাঁথা। ফলে শহরের নতুন সীমা রংপুর পুলিশ পেট্রোল পোস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেন তিনি। আবার সোনাইয়ের বিধায়ক করিমউদ্দিন বড়ভূইয়া শহরের পরিসর নাগাটিল্লা পর্যন্ত করার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন। এ দিকে, শিলচর শহরের পরিসর বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ওয়ার্ডের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ৩৫টি ওয়ার্ড হওয়ার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন ডিডিসি রাজীব রায়। জেলাশাসক কীর্তি জল্লিও জিপি স্তরে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণের কথা জানিয়েছেন।