Barak UpdatesBreaking News

এলআইসি-র পলিসি জাল করে এলআইসি থেকেই ঋণ !

২০ নভেম্বরঃ এলআইসি পলিসি জাল করে এলআইসি থেকেই ১৩ লক্ষ টাকা ঋণ! এমন ঘটনাই ঘটল শিলচর ১ নং শাখায়। শুধু কী আর এলআইসি-র ঋণ! একই পলিসি আরেক প্রস্ত জাল করে কানাড়া ব্যাঙ্কের জোয়াই শাখা থেকেও প্রতারকরা তুলে নিয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা।

ব্যাঙ্ক-ম্যানেজারের ফোনেই পলিসিহোল্ডার আশুতোষ চৌধুরী বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি স্ত্রীকে নিয়ে চিকিতসার জন্য বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। আচমকা ৬ সেপ্টেম্বর ফোন, মাসিক কিস্তি প্রদান শুরু না করার কারণ জানতে চাইলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আকাশ থেকে পড়েন তিনি। পরদিনই এলআইসি ম্যানেজার ফোন করে জানতে চান, ঋণের ১৩ লক্ষ টাকা পেয়েছেন নাকি তিনি। পলিসি বন্ধকের কথা জেনে ১৭ সে্প্টেম্বর শিলচরে ফিরেই ছুটে যান এলআইসি অফিসে।

এলআইসি-র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মানিক রায়ের বক্তব্য, ঋণ দেওয়ার সময় পলিসিহোল্ডারের ইন্টারভ্যু নেওয়া হয় না। নিজের পলিসি বন্ধক রেখে  অংশবিশেষ ঋণ নেবেন, তাঁকে আবার কী জিজ্ঞাসা করা! এ ছাড়া, একপ্রস্ত পরীক্ষা তো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হয়েই যায়। টাকা গ্রাহকের হাতে না দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়।

আশুবাবুর নামে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কেই টাকা পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতারক এর আগেই সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের শিলচর শাখায় আশুতোষ চৌধুরীর নামে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে নেয়। আর এলআইসি-কে সেখানেই টাকা পাঠাতে বলে।

সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের শিলচর শাখার ম্যানেজার মনোরঞ্জন ভদ্র বললেন, প্যানকার্ড এবং ইলেকট্রিসিটি বিলের ফটোস্ট্যাট জমা দিয়ে আবেদন করা হয়েছিল। ফলে অ্যাকাউন্ট না খোলার কারণ নেই। আশুবাবু সেগুলি দেখে জানান, ওই ফটোস্ট্যাট কপির দুটিই জোড়াতালি দেওয়া। তাঁর প্যানকার্ডের ফটোস্ট্যাট কপি সংগ্রহ করে তাতে ছবির জায়গায় প্রতারক নিজের ছবি লাগিয়েছে। একইভাবে অন্যের এক ইলেকট্রিসিটি বিল ফটোস্ট্যাট করে আশুবাবুর নাম-ঠিকানা জুড়ে দিয়েছে। আর কানাড়া ব্যাঙ্কে আশুবাবুর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে মেঘালয়ের লাইড্রিমবাই। আসল কাগজপত্র একবার দেখতে চাইলেই এমন কাণ্ড ঘটত না। তাই আশুবাবু পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য ১৯দিন আগে থানায় এফআইআর করেছেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার পরিতোষ পুরকায়স্থ আজও জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।

এ দিকে, এলআইসি-র শিলচর ডিভিশনের ম্যানেজার (পার্সোনাল) এনসি দাস বলেন, বিভাগীয় স্তরেও তদন্ত চালানো হচ্ছে। আশুতোষ চৌধুরীর উতকণ্ঠার কিছু নেই। মেয়াদপূর্তিতে তিনি তাঁর প্রাপ্য পুরোটাই পেয়ে যাবেন। আশুবাবুর বক্তব্য, টাকা পাওয়া বড় কথা নয়, এত টাকা কীভাবে হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব হল, তা জানা দরকার। কারা এই চক্রে জড়িত, তাদেরও শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

English text here

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker