Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
এনআরসিঃ কে কী বললেন
রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ অসমের এনআরসি-র খসড়া প্রণয়ন বা কোনও প্রক্রিয়ায় সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। পুরো বিষয়টিই সু্প্রিম কোর্টের নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে। যাদের নাম খসড়ায় বাদ পড়েছে, তাঁদের আতঙ্কের কিছু নেই। দাবি-আপত্তির সুযোগ মিলবে। তাও কতটা সময় দেওয়া হবে, কীভাবে কী হবে, সর্বোচ্চ আদালতই তা স্থির করে দেবে। তবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে গিয়ে নাগরিকত্ব প্রমাণের সুযোগ মিলবে।
সর্বানন্দ সোনোয়াল, মুখ্যমন্ত্রী, অসমঃ যাঁদের নাম বাদ গেল, তাঁদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের কারও নাম যেন বাদ না পড়ে, সরকার সেদিকে খেয়াল রাখছে। নাম তোলার দাবি জানান, আবার নথিপত্র পরীক্ষা করে দেখা হবে। অনেকে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, তাদের কথায় গুরুত্ব দেবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গঃ অসমে ৪০ লক্ষ লোকের নাম কেটে দেওয়া হল। তাঁদের অধিকাংশ বাঙালি। বাঙালির বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।
সুস্মিতা দেব, সাংসদঃ সবাই বলছেন, দাবি-আপত্তির সুযোগ মিলবে। তা তো মিলবে, কিন্তু গরিব মানুষেরা নাম তোলার দাবি জানানোর কী করে বারবার সেবাকেন্দ্রে ছুটবে! একবার ফর্ম সংগ্রহ করো, একবার জমা করো। পরে শুনানির দিনে হাজির হতে হবে। এ ছাড়া, রাষ্ট্র যাদের এনআরসির নামে রাষ্ট্রহীন করে দিচ্ছে, তাদের কী করা হবে, এ নিয়ে সরকারের আজও কোনও বক্তব্য নেই!
বদরুদ্দিন আজমল, সভাপতি, এআইইউডিএফঃ ৪০ লক্ষের বেশি লোকের নাম বাদ পড়ল! সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমানোর ষড়যন্ত্র কিনা খতিয়ে দেখছি।
অরবিন্দ রাজখোয়া, সভাপতি, আলফা-আলোচনাপন্থীঃ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে এসে পৌঁছার জন্য আসু ও এপিডব্লু যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে এসেছে, সে জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। অসম-ভারত সংঘাতের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধান প্রক্রিয়ায় গত ৭ বছর ধরে এই মুহূর্তটির অপেক্ষা করছিলাম।
রাজদীপ রায়, বিজেপি মুখপাত্রঃ যাঁদের নাম ওঠেনি, তাঁদের দলের তরফে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। সে জন্য রাজ্য, জেলা ও মণ্ডল পর্যায়ে এনআরসি হেল্পডেস্ক খোলা হবে।
এস লক্ষ্মণন, জেলাশাসকঃ এনআরসি প্রকাশের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে আমি খুশি। প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকদের যেন বাদ না পড়ে, দাবি-আপত্তি পর্যায়ে তা নিশ্চিতভাবে খেয়াল রাখা হবে।
কৃষ্ণেন্দু রায়, সভাপতি, কাছাড় জেলা কর্মচারী পরিষদঃ সরকারি কর্মচারীদের যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের তালিকা তৈরির চেষ্টা করছি। পরে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব। সরকারি কর্মচারীদের কারও নাম চূড়ান্ত তালিকাতেও বাদ পড়লে বিরাট মুশকিলে পড়তে হবে যে!