Barak UpdatesAnalyticsBreaking News
‘ইঁদুর দৌড়’-এ ৯ মহিলা, গৌরবের বিষয় বলছে পূবালি
ওয়ে টু বরাক, ২৬ মার্চ : এ বারের রূপম আয়োজিত ৪২তম নরেশ চন্দ্র পাল স্মৃতি সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় পূবালি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংস্থার চমক ছিল নয়জন মহিলা অভিনীত নাটক “ইঁদুর দৌড়”। অমল রায়ের লেখা এই নাটকের পরিমার্জন করেছেন বরেণ্য লেখিকা জয়া দেব এবং পরিচালনা করেছেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সুব্রত ভট্টাচার্য। পূবালির এই প্রযোজনা প্রথম শ্রেষ্ঠ দশটি নাটকের মধ্যে দশম স্থান লাভ করেছে।
বলাবাহুল্য এই প্রতিযোগিতায় ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৩৩টি নাট্যদল অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই প্রাসঙ্গিক এই ‘ইঁদুর দৌড়’ নাটকটি বঙ্গভবনে উপস্থিত দর্শকের দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্কুলের অভিভাবকরা নিজের ছেলেমেয়েদের নিয়ে নিজের মধ্যে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে যে চাপ সৃষ্টি করেন, এর প্রভাব ও পরিণতি দারুণভাবে তুলে ধরেছেন নয় মহিলা ও চার পুরুষ কলাকুশলী। এই নাটকে শিক্ষিকার ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর সম্মান এনে দিয়েছেন ক্লাবের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মঞ্জুশ্রী চৌধুরী (মিলি)।
নাটকের বাকি ১২ জন কলাকুশলী হচ্ছেন, মৌসুমী নাথ সমাজপতি, পুষ্মিতা নাথ চৌধুরী, শিউলি চক্রবর্তী, জয়া ভট্টাচার্য, ড. বনশ্রী নাথ, সোমা চক্রবর্তী বর্মন, মঞ্জুরি দেব পাল, দীপশিখা ভট্টাচার্য, প্রণব কল্যাণ দে, কিশোর বিশ্বাস, নিশীথ চক্রবর্তী ও স্বপ্নদ্বীপ চৌধুরী। তাছাড়া মঞ্চ সজ্জায় ছিলেন নিশীথ চক্রবর্তী, আবহ ও আলোক সজ্জায় ড.অজয় বর্মন গৌতম।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রণব কল্যাণ দে জানিয়েছেন, পূবালির ইতিহাসে এই প্রথমবার নয়জন মহিলা নাটকে অভিনয় করেছেন এবং সেটা খুব গৌরবের বিষয় যে, এই নাটক দর্শকদের মন জয় করতে পেরেছে। তিনি আরও জানান, রূপমের এই নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা পূবালির মতো নাট্য সংস্থার কাছে খুব সম্মানের বিষয় এবং পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে বিচারক দ্বারা প্রত্যেক নাটকের আলোচনা ও সমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এধরনের আলোচনা কলাকুশলীদের নিজেদের খামতি শুধরে নেওয়ার সুযোগ করে যা ভবিষ্যতে সাহায্য করে। তিনি জানিয়েছেন, পূবালির অনুরোধে এ বার রূপম সংস্থা এই বিচারকের আলোচনা বা সমালোচনা সকাল ১১টায় শুরু করায় প্রত্যেকটি নাটকের চরিত্রগুলি পুঙ্খানুুঙ্খভাবে বিচারকরা আলোচনা করেছেন। অন্যান্য বছর বিকেল তিনটেয় শুরু হতো যার দারুণ অনেক চরিত্রের আলোচনা সীমিত সময়ে বিচারকদের দ্বারা সম্ভব হতো না। এ জন্য প্রণব কল্যাণ রূপম সংস্থাকে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।