Barak UpdatesIndia & World UpdatesBreaking News
এবিভিপির ফেসবুক লাইভ, দত্তাপন্ত ঠেংরির সান্নিধ্যের দিনগুলি তুলে ধরলেন শশিকান্ত
১৪ জুন: প্রয়াত দত্তাপন্ত ঠেংরির জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ শিলচর শাখা বিশেষ ফেসবুক লাইভ আয়োজন করে । এতে দত্তাপন্ত ঠেংরির স্মৃতিচারণা করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বরিষ্ঠ প্রচারক শশিকান্ত চৌথাইওয়ালে৷ তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক তিনি সুন্দরভাবে তুলে ধরেন। শশীবাবু তাঁর স্কুল এবং কলেজজীবনে প্রয়াত ঠেংরির সান্নিধ্যে এসেছিলেন৷ রবিবার লাইভে সেসব দিনের স্মৃতিচারণা করেন ।। তখনকার সময় সংঘের ছাত্রছাত্রী বিষয়ক কাজ দেখাশোনা করতেন দত্তাপন্ত৷
শশীবাবু জানান, ১৯৪২ সালে যখন সমগ্র দেশে গান্ধীজির নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলছিল, তখনই দত্তাপন্ত ঠেংরি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে নিজের প্রচারক জীবন শুরু করেন৷ শুরুতে বাম অধ্যুষিত কেরল প্রদেশে সংঘের কার্যবিস্তারে ব্রতী হোন এবং বাম দুর্গে সংঘের কার্যবিস্তার করেন৷
১৯৪৮ সালে গান্ধীজির মৃত্যুর পর নেহেরু নেতৃত্বাধীন সরকার গান্ধী হত্যার মিথ্যা অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে দত্তাপন্ত ঠেংরি আসামে এসেছিলেন এবং সংঘের কাজ করেছিলেন ।।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সংঘের সঙ্গে জড়িত যুবকদের এবং দেশের যুব এবং ছাত্র সমাজের মধ্যে দেশাত্মবোধের ভাবনা গড়ে তুলতে দত্তাপন্ত ঠেংরিই সংঘ ভাবাদর্শসম্পন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে ১৯৪৯ সালের ৯ জুলাই তারিখে গঠিত হয় অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ৷ দত্তাপন্ত ঠেংরিকে শশীবাবু বিদ্যার্থী পরিষদের অন্যতম শিল্পকার বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি সমগ্র দেশ জুড়ে বিদ্যার্থী পরিষদের কার্যক্রম বিস্তারে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন ।
এরপর তিনি শ্রমিক এবং মজদুর ক্ষেত্রে কাজ করতে অগ্রসর হন এবং ভারতীয় মজদুর সংঘ প্রতিষ্ঠিত করে মজদুরদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময় তখনকার বিরোধীপক্ষকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে ঠেংরিজির বিশেষ ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন শশিবাবু। জরুরি অবস্থা চলাকালীন ঠেংরি সংঘের নেতৃত্বে বিরোধী পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন কংগ্রেস সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন । শশিবাবুর কথায়, তাঁর মধ্যে ছিল অসীম সাংগঠনিক গুণ। তিনি বিদ্যার্থী পরিষদ এবং সংঘের স্বয়ংসেবকদের দত্তাপন্ত ঠেংরির জীবনাদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান ।।