CultureBreaking News
শনিবার শুরু রূপমের নাটক প্রতিযোগিতা, একনজরে প্রথম দিনের দুটি নাটক
১৪ ফেব্রুয়ারি : রূপম আয়োজিত চল্লিশতম নরেশ চন্দ্র পাল স্মৃতি সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে। এ দিন এই নাটক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত। টানা ১১ দিন ধরে চলে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে এই নাটকের উৎসব। প্রথম দিন অর্থাৎ শনিবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর থাকবে দুটি নাটক। প্রথম নাটক মুম্বাইয়ের সংলাপ নাট্যদলের পরিবেশনায় ‘অথ মহাযুদ্ধ কথা’। এ দিনের দ্বিতীয় নাটক শিলচরের দশরূপক-এর পরিবেশনায় নাটক ‘অভিমুখ’। এ বার এক নজরে চোখ বুলিয়ে নেই দুটি নাটকের কাহিনিতে—–
সংলাপ পরিবেশিত নাটক ‘অথ মহাযুদ্ধ কথা’
অথ মহাযুদ্ধ কথা নাটকটির রচনা করেছেন সব্যসাচী দেববর্মন। নাট্যরূপ ও পরিচালনা তাপস করের। আবহ সংগীতে রয়েছেন রূপক চৌধুরী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আলোকসম্পাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনয়ে তাপস কর ও বিমান বসু।
সংক্ষিপ্ত সার : যুদ্ধ ছাড়াই আজ ঘরে ঘরে মহাভারত। তাই মানুষের চেতনা ও বিবেক জাগ্রত রাখতে আজও তেমন সারথির প্রয়োজন, যিনি সঠিক নীতি ও দিশা দর্শন করাতে পারবেন। অতিরিক্ত লোভ, লালসা এবং বিষয়ের প্রতি প্রবল আসক্তি ও যেনতেন প্রকারেণ পাবার ইচ্ছায় ক্রোধে উন্মত্ত মানুষ বুদ্ধিনাশ ও সর্বনাশের পথে পা বাড়ায়। এসব কিছুর মূলে কোথাও বাবার অনায্য চাহিদা পূরণে ছেলের ব্রহ্মচর্য পালন, কোথাও এর বিপরীতে বাবার অন্ধস্নেহ, সেইসঙ্গে আনুগত্যের প্রাবল্যে মায়ের নিজের চোখে পট্টি বাঁধা, আবার কোথাও ট্রাস্টি ও কমিটির সদস্যদের খুশি করতে আপনজন ও গরিবদের বঞ্চনা করা, পৌরুষের গরিমায় মদ-জুয়ার নেশায় নিজের ছাড়াও পরিবারের সম্পত্তিকে ধ্বংস করা। আবার সর্বগ্রাসী লোভে অতিরিক্ত পাবার নেশায় নিজেরটুকুও খোয়ানো। তাই আজও সঠিক কান্ডারীর একান্ত প্রয়োজন।
দশরূপক পরিবেশিত নাটক ‘অভিমুখ’
এই নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় চিত্রভানু ভৌমিক। মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতালী রাজকুমারী, অশোক দত্ত, শুভ্রেন্দু চক্রবর্তী, নয়না চৌধুরী, কৃষ্ণপদ গোস্বামী, শিবশঙ্কর দত্তরায়, সন্তোষ চক্রবর্তী প্রমুখ। রূপসজ্জা, আবহ ও আলোর দায়িত্বে রয়েছেন যথাক্রমে অভিক সেনগুপ্ত, আশোক সিনহা রাজকুমার ও দেবজ্যোতি রায়।
সংক্ষিপ্তসার : নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছেলে কালু। গত রাতে তার উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন বাইকটি চুরি গেছে। উদ্বিগ্ন মা ছুটে গেছেন মন্দিরে। সেই মন্দির থেকে ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। তারপর থেকে তার পরিবার কীভাবে সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করে নিজেদের নতুনভাবে আবিষ্কার করে, তাই এই নাটকের বিষয়বস্তু। নাটকের অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সংখ্যা মোট ১২ জন।